নমস্কার, আমরা মধুরূপার পরিবারের সদস্যরা। পাথির্ব দেহে, মধুরূপা আজ আর আমাদের মধ্যে নেই। একটি বিশেষ পূন্য লগ্নে,ওর জন্মের সময়টাতে, আমারা বিশেষ কিছু অনুভূতির সাক্ষী ছিলাম। মধুরূপা, ক্যান্সারের মতো একটি মারন ব্যাধির শারীরিক যন্ত্রনাকে বুকের মাঝে আবৃত রেখে, যেভাবে, জীবনের জয়গান গেয়ে মৃত্যুর মতো সবচেয়ে কঠিন সত্যটাকে আলিঙ্গন করেছে, ওখানেই বোধহয় ওর জীবনের সার্থকতা।
আমাদের মাঝে আসা 31-01-2002
অমৃতলোকে মধুরূপার যাত্রা 02-02-2022
"MMCWS" এর রেজিষ্ট্রেশন 02-03-2022
উপরের এই তিনটি তারিখের মধ্যেই নিহিত আছে দিব্য এই পবিত্র আত্মার একটি বিশেষ দিক নির্দেশনা।
জানুয়ারিতে (01) আসা।
ফেব্রুয়ারিতে (02) চলে যাওয়া।
মার্চ মাসে (03) ওর আত্মিক সত্তার (MMCWS) পুঃনর্জন্মের মাধ্যমে আমাদের সবার অন্তরের অনুভবে ওর চির উপস্থিতি সুনিশ্চিত করলো।
মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের "হিমালয় ভ্রমন" শীর্ষক রচনায় একবার পড়েছিলাম চরাচর বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের প্রকৃতিতে অখিল মাতার স্পর্শের অনুভূতির কথা।
MADHURUPA নামটি লেখার জন্য নয়টি লেটার প্রয়োজন।
আবার ওর জন্মের তারিখ 31-01-2002
# 3+1+0±1+2+0+0+2 = 09
মৃত্যুবরন 02-02-2022
# 0+2+0+2+2+0+2+2 = 10
MMCWSএর নিবন্ধের তারিখ 02-03-2022
# 0+2+0+3+2+0+2+2 = 11
অঙ্কের এই ধারাবাহিকতা (09~10~11) এক মহান আত্মার প্রতি বিধি নির্দ্ধারিত পূর্ব কোন অমোঘ হিসাব নয়তো?
আমরা, পরিবারের সদস্যরা আন্দাজও করতে পারিনি যে কত অগনিত হিতাকাঙ্খীকে সে শুধুমাত্র অন্তরের অনাবিল ভালোবাসায় তাদের হৃদয়কে স্পর্শ করেছিল।
আমরা জানি, মহাকালের গর্ভে এই নশ্বর পৃথিবীর সব কিছুই একদিন হারিয়ে যায়।
স্বামী বিবেকানন্দ বলেছিলেন, "জগতে যখন জন্মেছিস, একটা দাগ রেখে যা" সল্প পরিসরের এই জীবনে মধুরূপা হয়তো তাই করার চেষ্টা করে গেছে।
হিতাকাঙ্খীরা যখন চিকিৎসার জন্য অর্থ সাহায্য করে চলেছে, তখনই বারং বার এই বলে উষ্ঞা প্রকাশ করেছে যে "মানুষের এই ঋণ আমি কিভাবে পরিশোধ করবো"।
"মধুরূপার আত্মকথা" হলো তাদের অন্তর-আত্মার উপলব্ধি, যারা ওকে জেনেছে, কিছুটা হলেও তাঁর অন্তরের গভীরতা অনুধাবন করতে পেরেছে।
Namaskar, we are the family members of Madhurupa. In earthly body, Madhurupa is no more with us today. On a special auspicious day, at the time of her birth, we also witnessed some special feelings. Madhurupa, keeping the physical pain of a deadly disease like cancer covered in her chest, sings the victory song of life and embraces the most difficult truth like death, that is probably the meaning of her life.
Came between us on 31-01-2002
Madhurupa's journey to the "AMRITOLOK" on 02-02-2022
Registration of "MMCWS" 02-03-2022
Within these three dates above lies a special direction of the Divine Holy Spirit.
Coming in January (01).
Leaving in February (02).
Through the reincarnation of her Spirit Being (MMCWS) in the month of March (03) her eternal presence in our hearts was confirmed.
I once read in Maharshi Devendranath's work entitled "Himalaya Vraman" about the nature of the universe, is about the feelings of touch of the "Almighty".
To write the name of MADHURUPA requires nine letters.
Again his date of birth is 31-01-2002
# 3+1+0±1+2+0+0+2 = 09
Died 02-02-2022
# 0+2+0+2+2+0+2+2 = 10
Registration date of MMCWS is 02-03-2022
# 0+2+0+3+2+0+2+2 = 11
This sequence of numbers (09~10~11) is not an infallible calculation pre-ordained to a great soul?
We could not even imagine how many well-wishers she touched the hearts of just by his unfailing love. We know that everything in this mortal world is lost one day in the womb of "Mahakal". Swami Vivekananda said, "When you are born into the world, leave a mark" Madhurupa may has tried to do that in this short period of her life. As the well-wishers continued to contribute money for her treatment, she repeatedly expressed her enthusiasm saying "how can I repay this debt to the people".
"Madhurupa's Autobiography" is the inner-soul understanding of those who have known her, to some extent have been able to perceive the depths of his heart.
“ক্ষণজন্মা-মধুরূপার-মৃত্যুহীন-প্রান”
নমস্কার, আমরা মধুরূপার পরিবারের সদস্যরা। পাথির্ব দেহে, মধুরূপা আজ আমাদের মধ্যে আর নেই। মধুরূপা, ক্যান্সারের মতো একটি মারন ব্যাধির শারীরিক যন্ত্রনাকে বুকের মাঝে আবৃত রেখে, যেভাবে, জীবনের জয়গান গেয়ে মৃত্যুর মতো সবচেয়ে কঠিন সত্যটাকে আলিঙ্গন করেছে, ওখানেই বোধহয় ওর জীবনের সার্থকতা। একটি বিশেষ পূন্যলগ্নে, ২০০২ইং সালের ৩১শে জানুয়ারী, আগরতলার ইন্দীরা গান্ধী মেমরিয়াল হাসপাতালে ওর জন্ম হয়। ঐ সময়টাতে, আমারাও বিশেষ কিছু অনুভূতির সাক্ষী ছিলাম। একমাথা ভর্তি কালো কুচকুচে চুলের সঙ্গে সুশ্রী মুখমণ্ডল, ও অভিমানী কান্নার অনাবিল ভঙ্গি উপস্থিত নার্সদেরকে বিমোহিত করেছিল। শৈশবেই দুষ্টু-মিষ্টি চঞ্চলতায় যৌথপরিবারের সকল সদস্যদেরকে সর্বক্ষণ তাঁর অনুগামী করে রাখার প্রবণতা দেখেছিলাম।
কারো সঙ্গে কোনদিন আমরা, তার মধ্যে শৈশব ও কৈশোরসুলভ মনোমালিন্য হতে দেখিনি। তাঁর অসুস্থতার কথা বা তীব্র শারীরিক যন্ত্রনার বিষয়ে কাউকেই কিছু জানাতে চাইতোনা।
জীবন ও মৃত্যুর মধ্যে সম্পর্কটিকে সে “সত্যম শিবম সুন্দরম” এই মাত্রায় উন্নিত করে দেখিয়েছে। পরিবারকে যেন এটাই বার্তা দিতে চেয়েছে “আমায় রাখতে যদি আপন করে বিশ্বঘরে পেতামনা ঠাঁই”।
জানি সন্তানের প্রতি পিতা-মাতার স্নেহ থাকবে কিন্তু মোহ থাকবেনা। কিন্তু আমরাযে ওর মতো আত্মিক দিক দিয়ে এতো উন্নত স্তরে নিজেদেরকে আজও উপস্থাপিত করতে পারিনি। প্রভু শ্রী রামের বনবাসের সময় শোক সংবরন করতে না পেরে রাজা দশরথের মৃত্যু হয়েছিল। আর আমরা আছি জীবন্মৃত অবস্থায়।ওকে হারিয়ে আমরা জীবন্ত মমীর মতো বেঁচে আছি। বুকফাঁটা আর্তনাদ আর চোঁখের পাতাকে সিক্ত করেনা। ওর সল্প জীবন পরিসরের স্মৃতিগুলোর মন্থনে বিনীদ্র রাত জাগি।
২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে আগরতলা ক্যান্সার হাসপাতালে প্রথমে ধরা পড়ে, আমাদের মধুরূপা মারন ব্যাধি ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত। প্রথমে আগরতলা ক্যান্সার হাসপাতালে পরে মহারাষ্ট্রে স্থিত মোম্বাই টাটা মেমোরিয়াল সেন্টারে এবং কলকাতার ঠাকুরপুকুর ক্যান্সার হাসপাতালে ওর চিকিৎসা চলতে থাকে। এরপরে ২০২২ইং সনের ২রা ফেব্রুয়ারি রাত ১০টায় মহারাষ্ট্রে স্থিত মোম্বাই টাটা মেমোরিয়াল সেন্টারে চির কালের মতো মধুরূপা ইহ লোকের মায়া মমতা ত্যাগ করে অমৃতলোকে পাঁড়ি দেয়।
কেমো থেরাপী ও রেডিয়েশন থেরাপীর দুঃসহ যন্ত্রনা শরীরে বয়ে নিয়েই চলতে থাকে ওর পড়াশুনা ও ফটোগ্রাফীর কাজ। মধুরূপা একাধারে আগরতলা হলিক্রস কলেজের, বি-কম অনার্সের প্রথম বর্ষের ছাত্রী, পাশাপাশী আগরতলার কের চৌমুহনীতে স্থিত Business related Startup community “TOTEL” এর একটি উদ্যোগ, তথা “AgartalaBuzz” (A media platform) এর অন্যতম একজন ফটোজার্নালিস্ট। সমাজের সকল স্তরের মানুষ এমনকি প্রকৃতির জড়ও চেতন সকল বিষয়গুলিকে অত্যন্ত আদর ও ভালোবাসায় সে লেন্স বন্দিকরে গেছে।
এ প্রসঙ্গে মধুরূপার অত্যন্ত প্রিয় তনুশ্রী আন্টীর এবং আরও কয়েকজন ওর কাছের মানুষের লেখায় মানুষ হিসেবে ওকে অনুধাবন করার কিছুটা প্রয়াস পাই। নিম্নে তাদের অন্তরআত্মার অনুভূতীতে মধুরূপার জীবনাদর্শ নিয়ে লেখাগুলো উদ্ধৃত করছি।
01) আমি, তনুশ্রী দাশ....
ফেইসবুকে একটি পোস্ট এর মাধ্যেমে #মধুরূপা সম্পর্কে জানতে পারি! পরে আরও দুইজন পরিচিত থেকে জানতে পারি যে, “মধুরূপা” একজন যোদ্ধার নাম! ব্যাক্তিগত ভাবে তাঁর সঙ্গে পরিচয় করার এক তীব্র আকাঙ্খা অনুভব করতে থাকি! অদ্ভূত একটা দৈব শক্তি যেন আমাকে বার বার ঠেলতে লাগলো মধুরূপাকে সামনে থেকে দেখার! গেলাম ছুটে ২০শে জানুয়ারী ২০২২ইং, তাঁর বাড়ী খুঁজতে খুঁজতে! সে এক দারুন অভিজ্ঞতা, যা আমি সম্পূর্ণ রূপে প্রকাশ করার ভাষা খুঁজে পাবো না! তাঁকে দেখে ও তাঁর সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছিল যে এত সাহসী ও এত বুদ্ধিমতী একটি বাচ্চা মেয়ে যার দারুন সুন্দর অনুপ্রেরনাদায়ী হাসি, যার এত এত প্রতিভা, যার উপস্থিতি এত শান্ত অথচ এত উজ্বল সে কি ভাবে সময়ের আগে হারিয়ে যেতে পারে? হয়তো সব ঠিক হয়ে যাবে একদিন, হয়তো ঈশ্বর পরীক্ষা নিচ্ছেন ওঁর (মধুরূপা) ও তাঁর পরিবার পরিজনদের! আমি তাঁকে ঐ দিন কয়েকটা কথা বলেছিলাম লড়াইয়ে নামার আগে, বলেছিলাম "আমি তোমার অপেক্ষা করবো, তোমার অনেক কাজ বাকী! ফিরতেই হবে তোমাকে!
"উত্তরে আমায় বলেছিল "আন্টি আমি জানিনা কিভাবে আমি তোমাদের সকলের ঋন্ শোধ করবো! তবে কথা দিচ্ছি খুব শীঘ্রই আমি ফিরে আসবো!"
ঐ দিন ছিল বাইশে জানুয়ারী দুই হাজার বাইশ! এর পর থেকে পরের ছয় দিন আমার রোজ কথা হতো #মধুর সঙ্গে (হোয়াটস্ আপ এ)! এর পর হঠাৎ একদিন মধুর সাড়া দেওয়া বন্ধ হয়ে গেল! ভাবলাম # মধু আমার লড়াই এ ব্যাস্ত; জিতবে ই আমার নূতন বন্ধু #মধুরূপা#! কিন্তু #মধু র যুদ্ধ থেমে গেলো ফেব্রুয়ারির দুই তারিখ রাত দশটা নাগাদ! অথচ ঐ দিন আবারও এক অদ্ভূত শক্তি কিংবা অন্তরের ডাক আমায় টেনে নিয়ে গেছিলো #মেহের কালি বাড়ীতে মধুর জন্য মা এর কাছে প্রার্থনা করতে! ঐ দিন প্রান ভরে সারা সন্ধ্যা #মা কে ডেকেছিলাম যাতে #মধুকে আরও একবার নূতন জন্ম দেয়! কিন্তু বাড়ী ফিরে এসে ঘন্টা দুই এক এর মধ্যেই দুঃসংবাদটা পেলাম যে মধু আর আমাদের মাঝে নেই!
মনের ভেতরটা ভেঙ্গে চূড়মার হয়ে গেছিলো যে তাইলে কি ঈশ্বর আমার প্রার্থনা শুনলেন না ;# মধু ও কথা রাখলো না! চিৎকার করে আর্তনাদ করলাম! আমার নিজের #মা কে হারানোর যন্ত্রনা যেন আবার চাঙ্গা হয়ে উঠলো ! কিছুতেই মানতে পারছিলাম না এইভাবে মধুর হেরে যাওয়া!
কিন্তু আস্তে আস্তে আমি শান্ত হলাম, এই ভেবে নিজেকে সান্ত্বনা দিলাম যে #মধু এখন আমাদের #রাম এর চরনে শান্তিতে আছে যেখানে আমার #মা ও আছে! হয়তো আমার রাম চেয়েছিলেন আমি মধুর সঙ্গে দেখা করি , একটা ঈশ্বরের প্রিয় পাত্রীকে খুব কাছে থেকে দেখি! আমার একখানা ছোট্ট বই ( হনুমান চালিশা) তাঁকে শেষ উপহার দেই !বিনিময়ে #মধু আমায় অনেক কিছু ফিরিয়ে দিয়েছিল ও কিন্তু ! তাঁর ঐ ভূবন ভোলানো প্রান খোলা হাসি আমায় অনেক অনুপ্রেনা যুগিয়েছিলো যে কি ভাবে জীবনটাকে উপভোগের পাশাপাশি মরন কে ও স্বীকার করতে হয় ! কি ভাবে নিজের পরিবারের জন্য সমস্ত যন্ত্রনা ভুলে গিয়ে , অসহ্য যন্ত্রনা লুকিয়ে সবাইকে ভালো থাকার জন্য উৎসাহি করে তুলতে হয়! #মধুরূপা you were a blessed child and you are a blessed child of God ! Stay happy where ever you are! Love you soooooomuch Madhu ; hope we will meet again in the world of stars where you and my parents are staying together! ?????????????????
02) OMKAR BHATTACHARYA
আমি মধুরূপার দাদুভাই। ব্যাথিত হৃদয়ে সত্যিই আমি বাকরুদ্ধ। অনেক অনেক কথা বলতে চাইলেও কিছুই বলা হবেনা। তথাপি সংক্ষেপে বলতে গেলে মধুরূপা মেয়েটিকে একদম ছোটবেলা থেকেই ছিল অনন্য সাধারণ। পড়াশোনা, নাচে গানে এমনকি আর্টে ও ছিল সমান পারদর্শী। আর্টের ক্লাশটা আমিই করাতাম। আর্ট স্কুলের সবার সঙ্গেই ছিল তার অকৃত্রিম মেলামেশা। স্বতস্ফূর্ত মিষ্টি হাসি ঠোঁটের কোনে লেগেই থাকতো। আদরে শাসনে কখনও মন খারাপ করতে দেখতাম না। প্রণবানন্দ স্কুলে ক্লাশ eleven এ উঠে ও আর্ট স্কুল বন্ধ করেনি। নিয়তির পরিহাসে এমন সুন্দর জীবনে এতবড় ধ্বস নেমে আসবে তা কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। মধুরূপা দাদুভাই আমার অন্তর জুড়ে হৃদয়ের মণিকোঠায় স্থান করে নিয়েছে। " আমার হিয়ার মাঝে লুকিয়ে আছে..। " চিরকাল থাকবে ?
03) PRATIMA CHOUDHURI
*My dictionary of words are very less to describe her. On a piece of paper one day she wrote," why we look at the sky, we look for the Angel". When we listen or talk about an angel a beautiful kind hearted little girl flashes in our mind. She was nothing but that little angel on the earth, showering her beautiful smile, capturing the mind and heart of all she came across.*
04) NAYANIKA DAS.
? I will just want to say that, my Madhurupa or our dear friend Madhurupa was our strength, our inevitable support, we all her friends are waiting to see her again in the afterlife. I miss you so much Madhu?. From the time she passed away I eagerly wanted to do something that would compensate her loss . I wanted that she would live with us again like before but her passing away left a very big trauma in all of us. I again want to say we miss her very much and as a friend now I want to tell her soul that we are trying our best to pay all your debts ,that you left for us ,from the bottom of our heart. Love you dear Madhu.
05) “AGARTALA BUZZ”
সম্প্রতি নতুননগর নিবাসী সোনামুড়া মহকুমার শ্রী মিহির ভট্টাচার্য্য মহাশয়ের কন্যা কুমারী মধুরূপা ভট্টাচার্য্য(আগরতলা হলিক্রস কলেজের, বি-কম অনার্সের প্রথম বর্ষের ছাত্রী) দূরারোগ্য ক্যান্সার ব্যাধিতে আক্রান্ত্ হয়ে, গত ০২/ ০২/২০২২ইং মহারাষ্ট্রেস্থিত মোম্বাই টাটা মেমোরিয়াল সেন্টারে পরলোকে গমন করেন। উনার পরিবারসহ অন্যান্ন সামাযিক সংস্থার তরফে,সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে (ফেইসবুক) তাহার চিকিৎসার জন্য অর্থ সাহায্যের আবেদন করলে, মধুরূপার অগনীত হিতাকাঙ্খী এবং আত্মীয় স্বজনেরা উনার পিতার ব্যাঙ্ক্ একাউন্টে অথবা সরাসরি চিকিৎসার জন্য অর্থ সাহায্যে করেছিলেন। সাহায্য হিসাবে প্রাপ্ত অর্থের সবটুকুই অব্যায়িত অবস্থায় রেখে,মধুরূপা ইহলোকের মায়া মমতা ত্যাগ করে অমৃত লোকের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন। মধুরূপা ছিলেন একাধারে আমাদের আগরতলার কের চৌমুহনীতে স্থিত Business related Startup community “TOTELL” এর একটি উদ্যোগ, তথা “AgartalaBuzz” (A media platform) এর অন্যতম একজন ফটোজার্নালিস্ট। হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে আমরা গভীরশ্রদ্ধাবনতচিত্তে ওর ভাবসমৃদ্ধ কর্মকাণ্ডের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। আমাদের সবার অত্যন্ত আদর-স্নেহ ও ভালোবাসার বোন তথা বন্ধু সম কুমারী মধুরূপাকে হারিয়ে, আজ আমাদের অন্তর আত্মাও গভীরশোকে পাথর। বিগত 2020ইং সনে, রাজ্যবাসী যখন COVID-এর কড়াল ছায়ায় ভাড়াক্রান্ত হৃদয় নিয়ে শারদীয়া উৎসব পালন করছিল, তখন আমাদের সংস্থার আয়োজিত “খুশীরপাড়া” শীর্ষক যে বিনোদন মূলক অনুষ্টান হয়েছিল, মধুরূপার অনবদ্য ভূমিকা ইহাকে প্রানবন্ত করেছিলো। পাথির্ব কোন কিছুর বিনিময় ছাড়াও, কেবলমাত্র অন্তরআত্মার পবিত্র নিষ্কলুষ আদর-স্নেহ-ভালোবাসায় ও যে মানুষ তথা প্রকৃতিকে আপ্লুত করা যায়, মধুরূপা ছিলো তার অনবদ্য প্রতিমূর্তি। এমতাবস্থায়, তাহার পবিত্র আত্মার স্মৃতিটুকুকে আমাদের মধ্যে বাঁচিয়ে রাখতে, এবং রাজ্যে ক্যান্সার আক্রান্ত দুঃস্থ পরিবারের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে, তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার নিয়ে, মধুরূপার নামে একটি সামাজিক সংস্থা (NGO) গঠনকরার সংকল্প গ্ৰহন করি। অবশেষে রাজ্যে সরকারের Society Registration Department থেকে গত 02.03.2022ইং তারিখে “MADHURUPA MEMORIAL CANCER WELFARE SOCIETY” শীর্ষক আমাদের কাঙ্খিত Registration Certificate পাই। যাহার নম্বরহলো ৮৭৯৯ তাং০২.০৩.2022ইং। মধুরূপার দেখানো জীবনাদর্শকে পাথেয় করে, এবং দুঃস্থ ক্যান্সার রুগীকে সহযোগিতা করার নিরিখে আগামী দিনে এই সমিতির চলার পথকে সুগম রাখবো-এইটুকুই হউক আজকের দিনে আমাদের প্রতিজ্ঞা। পরিশেষে, রাজ্যবাসীর কাছেও আমাদের আবেদনথাকবে, সমিতির এই মহতী কর্মকান্ডের সঙ্গে সহযোদ্ধার মতো নিজেকে যুক্তকরে, ক্যান্সার প্রতিহত করার লড়াইয়ে আপনিও সামিলহবেন। সমিতির সদস্যপদ নিয়মাবলীর সাপেক্ষে সকলের জন্য উন্মুক্ত। সদস্যপদ নেওয়ার জন্য নিম্নেলিখিত নম্বরে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
সম্পাদক: ৯৮৫৬৫৫২৭২৭
ধন্যবাদান্তে
“মধুরূপা মেমোরিয়ল ক্যান্সার ওয়েলফেয়ার সোসাইটি।”